মাজরুল ইসলাম

ঐতিহাসিক মুর্শিদাবাদ জেলার অধুনা রানিতলা থানার অন্তর্গত বেণীপুর গ্রামে মাতুলালয়ে কবি ও প্রাবন্ধিক মাজরুল ইসলাম ১৭ জানুয়ারি ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস ওই থানার অন্তর্গত শিমুলডাঙ্গা গ্রামে। বর্তমানে তিনি পার্শ্ববর্তী ছাতাই গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন। পিতা মরহুম মহাম্মদ মণ্ডল,মাতা মরহুমা হাসিনা বিবি।মাজরুল ইসলাম তাঁদের দ্বিতীয় সন্তান। তিনি ছাতাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষ করে এবং ৪/৫ বছর পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর নিজের প্রচেষ্টায় আখেরীগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। এবং ১৯৮৪ সালে সেখান থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় দ্বিতীয় বিভাগে পাশ করেন। জিয়াগঞ্জ শ্রীপৎ সিং মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েও পারিবারিক অসচ্ছলতার জন্য পুনরায় পড়াশোনা অসমাপ্ত।মাজরুল ইসলাম সপ্তম শ্রেণিতে পড়াকালীন কবিতা চর্চাশুরু করেন। অবশ্য প্রবন্ধও লেখেন। মুর্শিদাবাদ তথা পশ্চিমবাংলা ও বাংলাদেশের বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়।
                 কবি মাজরুল ইসলাম সহজ-সরল কাব্য ভাষার একজন শক্তিশালী কবি। সাবলীল বাক্য গঠন ও বোধগম্য শব্দচয়নের রূপ- মাধুর্য তাঁর কাব্যে উপস্থিত। কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ 'ছায়াছন্ন ঘরবাড়ি' ।তারপরে 'পুনর্বাসন আপনাকে ... ' , 'নীল জলের কাব্য' ও 'কালের শঙ্খধ্বনি' (যন্ত্রস্থ) । এবং 'লোকায়ত প্রবন্ধ' ।  'আবার ফিরে এসেছি' , ' ,উপমা' 'মহুয়ামন' , 'লোক' , 'প্রদর্শিকা' , 'অনুভব' , 'অর্বাচীন', 'ডুয়ার্স সমাচার, , 'নন্দন' ,'গোরাগাঙনি' , 'কলাপাতা' , 'স্বপ্ন' , 'বুলবুল' 'উল্কা বৃষ্টি' , 'অন্যমুখ' , 'দ্বাদশাঞ্জলী', 'ধামসা মাদল' , 'আজকের ধূমকেতু' , 'সামান্থা' , প্রভৃতি পত্র -পত্রিকায় লেখেন। ২০১১ সালে তিনি, 'বর্ণ পরিচয়' সাহিত্য পুরস্কার পান। 'অষ্টবসু সাহিত্য পুরস্কার' , 'দূর্গাপদ ঘোষ স্মৃতি পুরস্কার' , 'নুরুল ইসলাম ও আনোয়ারা বেওয়া স্মৃতি পুরস্কার'  খোলা চিঠি পত্রিকার পক্ষ থেকেও ২০১৯ সালে সংবর্ধিত হন। ২০২১সালে সৈয়দ আহাসান আলী স্মৃতি পুরস্কার পান এবং 'কলকাতা লোকসংস্কৃতি পরিষদ'- এর পক্ষ থেকে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণাণ স্মারক সম্মান অর্জন করেন ২০২২ সালে।এছাড়াও বিভিন্ন সংস্থা থেকে পুরস্কার ও সংবর্ধনা সম্মানে ভূষিত।
              

Social Media:


মাজরুল ইসলাম এর লেখাসমূহ