জলধি / গল্প / সৈনিকটি লাউ খেতে চেয়েছিলো কেন?
Share:
সৈনিকটি লাউ খেতে চেয়েছিলো কেন?

রোজিনা বেওয়া প্রচ্ছাব করার উদ্দেশে চারচালা টিনের ঘরটার পেছনে যেতেই এক আশ্চর্য ঘটনার সামনে পরল। শীত সকালে নরম রোদ। সাদা সাদা ফুলে ভরে উঠেছে মাচার লাউ গাছটা। ফুলের গোড়ায় গোড়ায় কচি লাউ দিচ্ছে উঁকি। মসৃন কিশোরী গালের মতো পেলব গোটা তিনেক লাউ বড় হয়ে গেছে। ঝুলে পরেছে নিচে। মাচার ওপাশটায় ধানকাটা শেষে পরে আছে খোলা বিষণ্ণ মাঠ। হিম জাগিয়ে রাখা বিরতিহীন নির্দয় বাতাস। রোজিনা বেওয়া এসব প্রতিদিনই দেখে। কিন্তু ঘরের ঠিক পেছনেই  দাঁড়িয়ে আছে একজন পাকিস্তানী সৈনিক। মাত্র বিশ গজ দূর। এই নয় মাস মিলিটারি আসছে, শুধু এই ঘোষণাটুকু কানে আসার সঙ্গে সঙ্গে যে যেখানে যেমন আছে দৌড়। ফিরে তাকানোর সময় বা সাহস হয়নি কারো আর সেই মিলিটারি এখন রোজিনা বেওয়ার ঘরের  পেছনে ? প্রচ্ছাবের বেগ আসার কথা ভুলে গেল সে। তাকে দেখে কিন্তু পালাল না। এমনকি নড়লোও একটু। রোজিনা বেওয়া দেখল, সৈনিকটা মাচায় ঝুলে থাকা একটা লাউ দুই হাত দিয়ে ধরে আছে আর কাঁচা লাউটা কামড় দিয়ে দিয়ে খাচ্ছে। এক কামড় দিয়ে তুলে নিয়ে পচ পচ করে চিবাচ্ছে। কাঁচা লাউ খেতে কেমন লাগছে তা কে জানে।   

মার্চ মাসের শেষের দিকে চৌড়হাস ডি-টাইপ কোয়াটারের সামনে  ফেলে পাকিস্তানী মিলিটারি।  সেই থেকে কি কমবার পালিয়েছে ? অন্ত সতেরো আঠারোবার এই ঘর ছেড়ে পাশের গ্রাম, পাশের গ্রাম ছেড়ে দূরের গ্রাম। দূরের গ্রাম ছেড়ে নদীর ওই পার। আবার ফিরে আসা। ফিরে পাওয়া শূন্য ঘর। পোড়া ঘর। কান্না, যন্ত্রনা। লাশের সঙ্গে শুয়ে থাকা। মিলিটারির হাতে পরতে পরতে বেঁচে যাওয়া। তাদের তান্ডবে উজাড় হয়ে যাওয়া একটি জনপদের হাহাকার। কত কিছুই  দেখেছে সে স্বাধীন হতে গেলে নাকি এরকম অনেক কিছুই হয়।  

সেই একটা পাকিস্তানী মিলিটারি এখন ঘরের পেছনে দাঁড়িয়ে। তার মাচার কাঁচা লাউ খাচ্ছে পচ পচ করে ঠিক মিলছে না। টুপি নেই কিন্তু গায়ে ড্রেসটা ঠিক আছে। বিধ্বস্ত শরীর। কোনোদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই তার খাচ্ছে বলা যায় না। বরং গোগ্রাসে গিলছে। প্রচন্ড ক্ষুধার্ত গরু যেমন লাঙ্গল দিয়ে এসে গোগ্রাসে ঘাস খায়।   

ভয়ে কৌতূহলে বিস্ময়ে দুরন্ত এক কিশোর পেছন দিক থেকে এসে উঁকি দিচ্ছে। বোঝার চেষ্টা করছে আসলে ঘটনা কি। মিলিটারি বলতে সেই কিশোরও এই কয়মাস যা দেখেছে তার সঙ্গে এই দৃশ্যের কোনো মিল নেই। সেই কিশোরের পেছনে আরেকজন এসে দাঁড়ালো। এভাবে প্রায় একটা শিশু কিশোর দল। সবাই নিশ্চুপ। সৈনিকটা কোনো কিছুর দিকে না তাকিয়ে কাঁচা লাউটা গোগ্রাসে খেয়েই যাচ্ছে। ভয় না পেয়ে রোজিনা বেওয়া বরং হেসে ফেলল। বিড়বিড় করে বলল

আরে বুকা নোক, কদু কি কুনোদিন এম্ব্যা কাঁচা কাঁচা খাওন যায়

ঠিক তখনই সৈনিকটির চোখে চোখ পড়ল রোজিনা বেওয়ার। দুইহাত দিয়ে তখনো ধরা একটা আধ খাওয়া লাউ। তার ক্লান্ত দুই চোখে ভয়, লজ্জা, আতংক আর আকুতি মেশানো  বিচিত্র অভিব্যক্তি। 

লাউয়ের মাচা ঘিরে একটু একটু করে ভিড় বাড়ছে। নয় মাসের যুদ্ধের গভীর ছাপ কাটেনি ওদের কারোর মনে। ডিসেম্বর মাস পড়েছে। মুক্তিযোদ্ধারা একটার পর একটা এলাকা উদ্ধার করে নিচ্ছে। ইন্ডিয়ান সৈন্য মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কুষ্টিয়া শহরের কাছে এসে পজিশন নিয়েছে। তুমুল যুদ্ধ হচ্ছে। পাকিস্তানী মিলিটারিদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাঞ্চল ঘোষণা করে দিচ্ছে কোনো কোনো এলাকায়। বাতাসে বিজয়ী গন্ধ। যুদ্ধের গভীর ছাপ কাটিয়ে ওঠার আগেই এরকম একটা দৃশ্যের সামনে দাঁড়িয়ে সবাই।   

একজন হেসে বলল,

দ্যাক দ্যাক ক্যাম্বা করে কদু খাচ্ছেমনে হচ্ছে ওই মিলিটারি কদু চেনে না। জেবনে খায়নি কুনোদিন। 

আরেকজন বলল,

ওইডে মনে হয় আগের জন্মে ছাগল ছিল, বলতেই সবাই হো হো হি হি করে হাসতে শুরু করল।  

সৈনিকটি অসহায় তাকাচ্ছে সবার দিকে। সঙ্গে কোনো অস্ত্র নেই। যে শিশু কিশোরদেরকে মিলিটারি আসছে বলে ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়াতো মা।  তাদের সামনে এক জীবন্ত মিলিটারি। সে নিজেই শিশুর মতো আজ। এমন সময় গ্রামের একজন যুবক ছুটে এসে পেছন থেকে জাপ্টে ধরলো তাকে। সে কোন প্রতিবাদ করলো না। প্রতিরোধও করলো না। নিজেকে ছাড়িয়ে নিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টাও করল না। যুবকটি তাকে টেনে হিচড়ে নিয়ে এসে ফেলল রোজিনা বেওয়ার উঠোনে। মাটিতে চেপে ধরে রেখেই চেঁচিয়ে বলল,  

দড়ি আন। 

ঘিরে থাকা কিশোরের দলের কয়েকজন গরুর গোয়ালে গিয়ে দড়ি খুঁজে নিয়ে আসলো। তারপর উঠোনের মাঝখানে বসিয়ে কাপড় শুকোনোর খুঁটির সঙ্গে টাইট করে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে বেঁধে ফেলল। সৈনিকটি ভবলেশহীন। পা ছড়িয়ে দিয়ে বসে আছে। তার দুই হাত খুঁটির পেছনে নিয়ে বাঁধা। কোমর পর্যন্ত দড়ি পেঁচানো। মাথাটা ঝুকে আছে সামনে কারোর দিকে মুখ তুলে তাকাচ্ছে না।   

যুবকটি বলল, শালা বাঁধা থাক এইরকম। আমি কমান্ডারকে ডাকে অনতি যাচ্ছি। না আসা পর্যন্ত কেউ ওর দড়ি খুলিবিনে। ওর কাছে  ভিড়বিনে কেউ।  বলেই সে দ্রুত চলে গেল।  

উঠোনে দুচারটি মুরগি খুটে খুটে খেয়ে বেড়াচ্ছিল। তারা কক কক করতে করতে সৈনিকটির কাছে গিয়ে ঘাড় উঁচু করে দেখল।  

কিশোর কিশোরী দল নানারকম মন্ত্যব্য করছে। ওদের একজন বলল,

দ্যাক, হের প্যান্টের ওকেনে ভিজা, মুতে ফেলাইছে মনে হয়। শুনে অন্যরা আবার হা হা হি হি করে উঠলো।    

রোজিনা বেওয়ার মনে হল লোকটা খুব ক্ষুধার্ত। কয়েকদিন কিছু খায়নি। না হলে কাঁচা লাউ কেউ চিবিয়ে খায়। শরীর একেবারে নেতিয়ে পড়েছে। কুষ্টিয়ায় ইন্ডিয়ান আর্মি আর মুক্তিবাহিনী ঢুকে পরার সঙ্গে সঙ্গে রোজিনা বেওয়ারা আর পালাতে যেতে হয়নি। কিন্তু চারিদিকে খুব অভাব। তার স্বামী সেই ভোরবেলা কোনো একটা কাজের সন্ধানে বের হয়েছে। সকালে জুটেছে শুধুমাত্র লবন দেয়া পান্তা ভাত। সেই ভাত অর্ধেক পেট খেয়ে অল্প একটু বাঁচিয়ে রেখেছে মেয়েটার জন্যে। ঘরে গিয়ে  টিনের থালায় ঢাকা সেই ভাতটুকু তুলে নিল সে। একটু লবন ছিটিয়ে আর একটুকরো কাঁচা মরিচ নিয়ে উঠোনে নামলো। 

ভিড় করে থাকা অনেকেরই  আজ সকালে খাবার জোটেনি। তাদের সামনেই রোজিনা বেওয়া ভাতের থালাটা সৈনিকটির সামনে রাখলো। মাথা নিচু করে থাকা সৈনিকটি করুণ চোখে তাকালো পানি দেয়া ভাতের থালার দিকে। তারপর মুখ তুলে তাকালো রোজিনা বেওয়ার দিকে। এই দৃষ্টিতে কি এখন পাকিস্তান আছে ? কিংবা বাংলাদেশ ? অথবা বাঙালিদের জাত বদলে দেবার টিক্কা খানের হিংস্র নির্দেশ

ভাতের থালা পেলেও খাবে কিভাবে। ওর দুই হাত থেকে কোমর পর্যন্ত খুঁটির সঙ্গে পেঁচানো।   

রোজিনা বেওয়া ভাবলো, ওর বাঁধন খুলে দিই। কমান্ডার আসার আগেই লোকটা চট করে খেয়ে নিক। কিন্তু ওর ভাষা তো জানি না। সে কি বুঝবে ? তবুও কাছে গিয়ে দড়ি খুলতে গেল। অমনি সৈনিকটি নিজেই নেতানো মাথা ঝাকিয়ে ঝাকিয়ে না না করল। রোজিনা বেওয়া একটু অবাক হলো। লোকটার কষ্ট হচ্ছে। ক্ষুধার্ত। খুলে দিলে খুশি হওয়ার কথা। পালিয়ে যেতে চেষ্টা করার কথা। কিন্তু নিজেই মাথা ঝাকিয়ে না না ইশারা করছে। ভিড় করা কিশোরদলও চেঁচিয়ে বলল,

খুলেন না চাচী খুলেন না। কমান্ডার শুনলি আপ্নেক খুন করে ফেলাবিনি। 

রোজিনা বেওয়া কি করবে বুঝতে পারছে না। সৈনিকটির মুখোমুখি বসা। চারিদিকে ঘিরে থাকা কিশোরদল কেউ হাসছে। কেউ মজা দেখছে। ওদের একজন বলল,

খাওন দিয়ে লাভ কি, ওর হাত পাও তো বান্ধা। খাবি ক্যাম্বা ?

আরেকজন অভিনয় করে দেখালো কুকুর বিড়ালের মতো হামাগুড়ি দিয়ে মুখ নামিয়ে নামিয়ে খাবে। এরকম হাসি তামাশার মধ্যেই রোজিনা বেওয়া ভাতের থালাটা  হাতে তুলে  নিল আবার। তারপর নিজেই মুখে তুলে খায়িয়ে দিতে চাইলো। সৈনিকটি রোজিনা বেওয়ার দিকে অবাক হয়ে তাকাল। তার মনের ভেতর কি হচ্ছে এখন তা কে জানে। সে কি ভাবছে এই মাত্র কদিন আগে এরকম বাঙালি নারীদের ধরে এনে কি অমানুষিক বীভৎস নির্যাতন করার কথা ? সে কি ভাবছে বাংলার গ্রামের এক সহজ সরল নারীর উচিত তো এখন তার মুখে থুতু ছেটানো ? এসবের কিছুই আর জানা গেল না।  কিন্তু বালুচ রেজিমেন্টের দুর্ধষ এই সৈনিকের দুই চোখ তখন ভিজে উঠেছে।    

ইশারায় তাকে হা করতে বলল রোজিনা বেওয়া। সে প্রথমে না না করে মাথা নাড়ালো দুইবার। কিন্তু দুর্দম ক্ষুধা তৃতীয়বার তাকে হা করতে বাধ্যই করলো। তা দেখেও কিশোরদের কেউ টিপ্পনি কেটে বলল

গ্যাদা পুলা নাকি যে মুকে তুলি খাওয়ায়ে দেচ্ছেন  চাচী

এই কথা শুনে অন্যরা হা হা করে করে উঠলো আবার। 

চারপাঁচবার মাত্র মুখে তুলে খাইয়ে দিতে পেরেছে। এক ঢোক পানি মুখের সামনে ধরলে সে পুরো এলুমিনিয়ামের গ্লাস খালি করে ফেলল। ঠিক তখনি সেই যুবকটি কমান্ডারকে নিয়ে এসে উঠোনে ঢুকলো। সঙ্গে আরো কিছু লোক। উত্তেজিত। কমান্ডার এসে কোনোকিছু না বলে সৈনিকটির পেটে খুব জোরে একটা লাথি মারলো। আর সঙ্গে সঙ্গে সদ্য খাওয়া একটু সাদা পান্তাভাত মুখ দিয়ে বের হয়ে পড়ল উনিফর্মের কলারে। বুক পকেটের ওপর।  

কমান্ডার সঙ্গীদের নির্দেশ দিল দড়ি খোল। তারপর নিজের পিঠের স্টেনগানটা নামিয়ে সৈনিকটির দিকে  এমনভাবে তাক করে ধরলো যেন এখনই ঝাঁজরা করে দেবে। ভয় পেয়ে দূরে সরে গেল সবাই। রোজিনা বেওয়া নিজের বারান্দায় গিয়ে উঠলো। কয়কেটা মুহূর্ত এভাবে কেটে গেল।  তারপর রোজিনা বেওয়া সাহস করে বলল,

আমার উঠোনে তাক গুলি না করলি হয় না ?

কথাটা শুনে কমান্ডার কি মনে করে স্টেনগানটা নামিয়ে  নিলো। সঙ্গীদের অর্ডার দিল

ওর দুই হাত দুইখেন লম্বা দড়ি দিয়ে বাঁধ। 

বাধা হলে দড়ি দুটো ধরে দিল টান। বসা থেকে পরে গেল সৈনিকটা। বারান্দায় খুঁটি ধরে দাঁড়ানো রোজিনা বেওয়ার দিকে একবার অসহায়ভাবে তাকালো। রোজিনা বেওয়া কি করবে বুঝতে পারলো না। আবার সাহস করে বলল,

ভাই শোনেন, তাক হাটায়ে নিয়ে গেলে হয়না ?

কমান্ডার সেই কথায় ভ্রূক্ষেপ না করে দিলহ্যাচকা হ্যাচকা এক টান। উঠোন থেকে ছেঁচড়ে নিয়ে গেল শুকনো ধান খেতে। এবড়ো থেবড়ো শক্ত এঁটেল মাটি। তার মধ্যে দিয়ে দড়ি বাধা সৈনিকটিকে টেনে হিচড়ে নিয়ে যেতে যেতে লাগলো সদ্য মুক্তিযুদ্ধ শেষে ফিরে আসা যুবকদল। নৃশংস মৃত্যুর হাত থেকে ফেরা যুবকরা আজ অন্তত একজনকে হাতের মুঠোয় পেয়েছে। যারা বদলে দিতে চেয়েছিল বাঙালির জাত, দেশ, অস্তিত্ব।  

দুটো কাক একসঙ্গে কা কা কা করতে করতে উড়ে গেল ওই মাঠের আকাশ দিয়ে। টেনে হিচড়ে নেয়ার কারণে তার ইউনিফর্ম ছিড়ে শরীরের চামড়া উঠে উঠে গেল। অনেক জায়গায় জখম হয়ে গোলাপি মাংস বের হয়ে পড়েছে। প্যান্টটা ছিঁড়েছুটে খুলে নেমে এসে হাঁটুর কাছে আটকে থাকলো। সেটা দেখে পেছনে ছোটা কিশোরদল হৈ হৈ করে উঠলো। শুকনো ধান ক্ষেত শেষ হলে উঁচু ভাঙাচোরা রাস্তা। কুষ্টিয়া থেকে ঢাকার দিকে চলে গেছে। জয় বাংলা বলে চিৎকার করতে করতে একটা ট্রাক ভর্তি মানুষ চলে গেল পশ্চিম থেকে পুবের দিকে। রাস্তার ওপর বিশাল একটা শিরিষ গাছ। তার মগডালে বসে এক জোড়া শকুন। গম্ভীর গলা ঝুকিয়ে দেখছে ওই দলটার দিকে। দড়ি বাঁধা সৈনিকটা ততক্ষনে রক্তাক্ত হয়ে পড়েছে। যন্ত্রনায় কঁকিয়ে ওঠার শক্তিটুকু প্রায় নিঃশেষ। রোজিনা বেওয়া ওদের পিছু পিছু আসছিলো এক অজানা টানে। তাদের হাঁটার গতির সঙ্গে আর সামঞ্জস্য রাখতে পারলো না। ওর মনে পড়ল সে প্রচ্ছাব করতে গিয়েছিল ঘরের পেছন দিকে। সেই সময় তার প্রচ্ছাব না চাপলে হয়তো ঘরের পেছনে যেত না। আর ওই মিলিটারীটাকে দেখতে হতো না। নাহ, আর যাবে না। রাস্তার এপাশে দাঁড়িয়ে পড়লো সে ওরা তখন উঁচু রাস্তা ছেড়ে বাক নিচ্ছে ডিসি কোর্ট চত্বরের দিকে। দলটা চোখের আড়াল হওয়ার আগ মুহূর্তে সৈনিকটি অনেক কষ্টে একবার মাথা তুলে তাকালো। কাকে খুঁজল সে কে জানে।  



অলংকরণঃ তাইফ আদনান