জলধি / কবিতা / শিশির আজমের তিনটি কবিতা
Share:
শিশির আজমের তিনটি কবিতা
সুলতানা

কেন এতো তীব্র আমার দৃষ্টিক্ষমতা? সমতলে ঘৃণা - গম্বুজের অন্ধকার ধরে আছে নির্বিচার চূড়াবিহার। শৈশব - গণিতের ধৈর্যে লুকোনো পাপ উষ্ণ ও জীবন্ত। পাড়ার দক্ষিনে অবরুদ্ধ ঘরগুলো টালমাটাল। ডানার উন্মেষ। রাজকুমারীদের ভীড়ে আমার চোখ বেয়ে হৃৎপিন্ডে ঢুকে পড়ে সুলতানা। ওহ দেবতাসকল! তোমরা কি ভোর দেখেছো? ভোরের রক্ত, আর পৃথিবী থেকে ক্ষণিকের জন্য পালিয়ে যাবার সাঁকো? পুষ্পের ডামাডোলে ও শোকে থুতু আটকাতে আমার কষ্ট হয়। হাসতে গিয়ে ঠোঁট চিরে হা। পাছার মাংস বাম হাত দিয়ে চেপে ধরি, যেন সুবোধ পৃথিবী তার বিশ্রী কান্ডটা এক্ষুনি ঘটিয়ে না ফ্যালে। আমার অনুভূতি সৃষ্টিশীলতার এই পর্যায়ে শয়তানের পাাঁজরার হাড়ের পরিমাণে উত্তীর্ণ। ফলে এ তো সোজা - কুতকুতে চোখে গেলাস কতোটা ভরছো আর জানালার পর্দা নড়ে ওঠার আগেই ঢালছো গলায়।দ - সুদর্শন ও মূল্যবান লেজ পায়ুপথে ঢুকে গেছে নিরাপদে। এইনরকের সৌন্দর্য উপভোগের ক্ষমতা কার আছে? হায় শিল্পের তরুলতা ও মেঠো পথ! সুলতানা ওখানে বাঁচেনি। আমার দুর্বিণীত দৃষ্টিক্ষমতা ভদ্রস্থ দরজাগুলোর টপাটপ বন্ধ হয়ে যাবার জন্য যথেষ্ট। এই ফাঁকে সাঁকো পেরিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ি শয়তানের দরজায়।

সেও স্বর্গ থেকে বিতাড়িত।


নির্বোধ আবহাওয়া দপ্তর

মেয়ে কত বড় হয়ে গেছে।

আবহাওয়া দপ্তর বলছে তিন দিন বৃষ্টি থাকবে - বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ।

আমাদের সময়ে বারান্দা ছিল না, নৌকো চলতো শব্দ হতো না -

ঝাঁপশা লাইনটা, আশ্চর্য এইমাত্র যেই বসিয়ে দিয়েছি

মেয়ের নেভানো খাতার অসমাপ্ত লাইনের পাশে

কি বলবো, আবহাওয়া দপ্তর - ওর মা - আমি আর মেয়ে

                               একই উত্তপ্ত নৌকোয়


১৪৪ ধারা ব্যাখ্যা করছি

তোমার

            ১৪৪

                     ধারা

আমার

            ১

                     দফা



অলংকরণঃ তাইফ আদনান