জলধি / কবিতা / ত্রিশাখ জলদাস এর তিনটি কবিতা
Share:
ত্রিশাখ জলদাস এর তিনটি কবিতা
শ্রমণ

চৌকাঠ পেরোতেই তিতির। কয়েকটি ঢোল কমলি ফুটে আছে পথের আড়ালে। পশ্চিমমুখী একটি পাহাড় হেলে আছে যেন আমার কাঁধ। একটি পাখির শরীর বেঁকে বেঁকে জড়িয়ে যাচ্ছে।

তুমি জলে নামলে মাছ। স্নানের বিপরীতে শব্দ করে হেসে উঠি। মাঝে মাঝে ভুলে যাই দম নেওয়ার বিবিধ কৌশল । এখানে জীবন একটি অপ্রতিরোধ্য বিধান । শিয়রে স্বপ্নের বিপরীতে সাপ শুয়ে আছে।

এইসব ভিন্নতাকে সংগে নিয়ে হেটে যাচ্ছি । দেখি কাকতাড়ুয়া উড়ে যাচ্ছে ফসলের মাঠ থেকে। আর ছায়াহীন ছুটে যাচ্ছে গ্রীষ্মের দুপুর।


যাপন

নির্ভরতাকে ভাগ করে নিয়েছি। আয়ুর মোকাম থেকে খুলে যাচ্ছে সময়। নিদ্রা থেকে বহুদূর হেঁটে এসে দেখি হুইসেল বাজিয়ে ফিরে যাচ্ছে লঞ্চ। নদীর এপারে গঞ্জের হাট। ছায়া মাসিদের নটিঘরে উৎসব। কাম অগ্নিহোত্রী ধ্যান।

শরীরে অর্চনা নিয়ে বসে আছে নারী । বসি তার পাশে। স্রোতের শব্দ শুনি। ভিতরে কোন স্থিরতা নেই। দৃশ্যের বাইরে এসে দেখি অসংখ্য দৃশ্য। ফের বহুদূর হাঁটি। ফের নিদ্রায় ডুবি। নিদ্রার  ভেতর একটি শীতল শিহরণ জেগে আছে।


ঘৃণা

থার্ড সার্কেলে ছুঁড়ে মেরো না, আমি হিসাব কষতে জানিনা। পৃথিবীতে তারা অন্ত্যজ যারা হিসাব কষতে জানে না। ধরো যাদব বাবুর গণিত, যা আমি কোনদিন মিলাতে পারিনি। তাহলে ধরে নিবো তা অপ্রকাশিত।

অপ্রকাশিত বস্তুসমূহের অন্য একটি মাত্রা থাকে যা স্পর্শ করতে পারে না মানুষ। সূত্র বলে যা স্পর্শ করা যায় না তাই জীবন ।

হরিণ শাবক হেটে বেড়াচ্ছে জলের কিনারা ধরে… চল কুমিরদের ভোজ উৎসব দেখি; নৃশংসতা একটি উপভোগ্য উপপাদ্য।



অলংকরণঃ আশিকুর রহমান প্লাবন