জলধি
/ কবিতা
/ তিথি আফরোজের তিনটি কবিতা
তিথি আফরোজের তিনটি কবিতা
ফানুস
ভালোবাসা হলে দেহ ভাসে হাওয়ায়,
নড়বড়ে জল, চোখের ভিতর জমে থাকে নীরব ছোঁয়া।
হৃদয়, কাঁচের বেলুন,
নেমে আসে বুকের ভাঁজে,
ঢেউয়ের মতো ছুঁয়ে দেয় নীরব আশায়।
প্রেমের আঙুলে চিৎকার নেই,
শুধু মৃদু স্পর্শ,
ভেঙে যায় রোদছায়ার মধ্যে।
ফানুস ভেসে হয় মানুষ, অথবা মানুষই হয় ফানুস
অবচেতন বাঁকে জমে থাকে উষ্ণ গন্ধ,
অচেনা নদীর মতো ঝরনা ঘুরে আসে পায়ের তলায়।
একটি হাসি, যা শিশুর মতো ঝলমল জলছাপের মতো,
নিয়ন্ত্রণহীন, হালকা, কিন্তু বুকের নিচে জমে থাকে আগুন।
ভালোবাসার ভিতর জন্ম নেয় অদৃশ্য শহর,
প্রতিটি নিঃশ্বাস ভেসে ওঠে ফানুসের রূপে,
মানুষ, অল্পক্ষণের জন্য প্রেমে ডুবে জীবনের দিকে উড়ে চলে।
বাসনা
যদি কোনোদিন বৃষ্টিতে নেমে আসে স্বয়ং আকাশ,
বুকের বাঁকে ভিজে থাকবে পরিত্যক্ত নক্ষত্রের হাহাকার।
ভুলে যাওয়া আলো চোখের ভেতর ঢুকে,
বুকের নিচে জমে থাকবে নিঃশব্দ আগুনের নীরব গান।
চাঁদ, তারা, মালা গাঁথা বকুলের মতো,
গোপন ভাঁজে লুকিয়ে মাখে প্রিয় শরীরের ঘ্রাণ।
ব্যথা প্রেমে মিশে বাতাসে,
গানে, কানে,
জ্যোৎস্নার স্রোতের নদী ভেসে জেগে আছে প্রাচীন ক্ষুধায়।
কষ্ট শরীর ভিজায়, ভিজায় ইতিহাসও,
তুমি, অলিখিত ইতিহাসের নতুন রূপ,
কবর হয়ে জাগ্রত স্বপ্নে,
অশ্রুতে ভিজে গেছে ভাষা,
রোমিও না হয়ে পচে যাওয়া জুলিয়েটে ডুবে আসে।
ভেতরে জন্ম নেয় অচেনা নগর,
পুড়লেই আকাশ ঝরে বৃষ্টির বেগে,
প্রেম, হাতে ধরা ধোঁয়াটে মশাল, ঝলমল আলোর মতো।
রিনিঝিনি ব্যথা কাঁপায় গলির বাঁকে,
অন্তর্মুখী প্রেমের ছায়া জড়ায় নিঃশব্দ রাতে,
ভেসে আসে গোপন নদীর ফিসফিসানি,
মৃত্তিকা থেকে উঠে আসে অদৃশ্য জ্যোৎস্নার লিপি।
লুট হওয়া ইতিহাস
শব্দের চিৎকার সীমা পার করেছিলো
শ্রবণশক্তির উঠোনে ভাঙা বাঁশ ।
চিৎকারের নাম দিয়েছিলে মৃত্যু;
শব্দগুলো যখন বোধ ক্ষমতার প্রশ্ন তুলে বলেছিলো, না বুঝলে আমি ঝরে গিয়ে বর্ণ হবো,
নিঃশ্ব হবো, তখনই তার নাম ইরেজারে মুছে লাশ লিখেছিলে।
বর্ণগুলো বরাবরই অসংলগ্ন শব্দ থেকে বাক্য হওয়ার ভয়ে বলেছিলো, তুমি কিন্তু নিঃশ্বাস কেড়ে নিও না, এটা আমার জন্মগত অধিকার।
অতপরঃ অধিকার হরণকারী নেকড়ে হয়ে বর্ণের প্রাণহীনতার প্রশ্নে তাকে পৃষ্ঠা ছাড়া করেছো।
টুকরো টুকরো রিফুজি হয়ে ভাঙা শব্দ কন্ঠে লেপ্টে থেকে চিৎকার করে বলেছিলো, অবুঝ শিশুর কন্ঠে শব্দ তৈরি হলেই অক্ষর তার জন্মের অধিকারে এক এক বিন্দু রক্ত লুট হওয়ার ইতিহাস লিখবে।
শব্দের চিৎকার সীমা পার করেছিলো
শ্রবণশক্তির উঠোনে ভাঙা বাঁশ ।
চিৎকারের নাম দিয়েছিলে মৃত্যু;
শব্দগুলো যখন বোধ ক্ষমতার প্রশ্ন তুলে বলেছিলো, না বুঝলে আমি ঝরে গিয়ে বর্ণ হবো,
নিঃশ্ব হবো, তখনই তার নাম ইরেজারে মুছে লাশ লিখেছিলে।
বর্ণগুলো বরাবরই অসংলগ্ন শব্দ থেকে বাক্য হওয়ার ভয়ে বলেছিলো, তুমি কিন্তু নিঃশ্বাস কেড়ে নিও না, এটা আমার জন্মগত অধিকার।
অতপরঃ অধিকার হরণকারী নেকড়ে হয়ে বর্ণের প্রাণহীনতার প্রশ্নে তাকে পৃষ্ঠা ছাড়া করেছো।
টুকরো টুকরো রিফুজি হয়ে ভাঙা শব্দ কন্ঠে লেপ্টে থেকে চিৎকার করে বলেছিলো, অবুঝ শিশুর কন্ঠে শব্দ তৈরি হলেই অক্ষর তার জন্মের অধিকারে এক এক বিন্দু রক্ত লুট হওয়ার ইতিহাস লিখবে।
ফানুস
ভালোবাসা হলে দেহ ভাসে হাওয়ায়,
নড়বড়ে জল, চোখের ভিতর জমে থাকে নীরব ছোঁয়া।
হৃদয়, কাঁচের বেলুন,
নেমে আসে বুকের ভাঁজে,
ঢেউয়ের মতো ছুঁয়ে দেয় নীরব আশায়।
প্রেমের আঙুলে চিৎকার নেই,
শুধু মৃদু স্পর্শ,
ভেঙে যায় রোদছায়ার মধ্যে।
ফানুস ভেসে হয় মানুষ, অথবা মানুষই হয় ফানুস
অবচেতন বাঁকে জমে থাকে উষ্ণ গন্ধ,
অচেনা নদীর মতো ঝরনা ঘুরে আসে পায়ের তলায়।
একটি হাসি, যা শিশুর মতো ঝলমল জলছাপের মতো,
নিয়ন্ত্রণহীন, হালকা, কিন্তু বুকের নিচে জমে থাকে আগুন।
ভালোবাসার ভিতর জন্ম নেয় অদৃশ্য শহর,
প্রতিটি নিঃশ্বাস ভেসে ওঠে ফানুসের রূপে,
মানুষ, অল্পক্ষণের জন্য প্রেমে ডুবে জীবনের দিকে উড়ে চলে।
বাসনা
যদি কোনোদিন বৃষ্টিতে নেমে আসে স্বয়ং আকাশ,
বুকের বাঁকে ভিজে থাকবে পরিত্যক্ত নক্ষত্রের হাহাকার।
ভুলে যাওয়া আলো চোখের ভেতর ঢুকে,
বুকের নিচে জমে থাকবে নিঃশব্দ আগুনের নীরব গান।
চাঁদ, তারা, মালা গাঁথা বকুলের মতো,
গোপন ভাঁজে লুকিয়ে মাখে প্রিয় শরীরের ঘ্রাণ।
ব্যথা প্রেমে মিশে বাতাসে,
গানে, কানে,
জ্যোৎস্নার স্রোতের নদী ভেসে জেগে আছে প্রাচীন ক্ষুধায়।
কষ্ট শরীর ভিজায়, ভিজায় ইতিহাসও,
তুমি, অলিখিত ইতিহাসের নতুন রূপ,
কবর হয়ে জাগ্রত স্বপ্নে,
অশ্রুতে ভিজে গেছে ভাষা,
রোমিও না হয়ে পচে যাওয়া জুলিয়েটে ডুবে আসে।
ভেতরে জন্ম নেয় অচেনা নগর,
পুড়লেই আকাশ ঝরে বৃষ্টির বেগে,
প্রেম, হাতে ধরা ধোঁয়াটে মশাল, ঝলমল আলোর মতো।
রিনিঝিনি ব্যথা কাঁপায় গলির বাঁকে,
অন্তর্মুখী প্রেমের ছায়া জড়ায় নিঃশব্দ রাতে,
ভেসে আসে গোপন নদীর ফিসফিসানি,
মৃত্তিকা থেকে উঠে আসে অদৃশ্য জ্যোৎস্নার লিপি।
অলংকরণঃ তাইফ আদনান
